কৃষিমন্ত্রীর সম্পদ বাড়েনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩০
 
বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের টানা পাঁচবারের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. আব্দুর রাজ্জাকের ব্যবহৃত গাড়ি ও ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা ছাড়া আর তেমন কোন সম্পদ বাড়েনি। এছাড়াও তার নামে কোন প্রকার মামলা নেই। 
 
হলফনামা থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন ভাড়া পেতেন বছরে চার লাখ ৩২ হাজার ২২৮ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৭২৬ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে করমুক্ত আয় ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৫ টাকা ও মৎস্য চাষ হতে আয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩২০ টাকা, ব্যাংকে জমা কৃত অর্থ ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ২০ টাকা, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে ইউনিভার্সাল পোল্ট্রি হ্যাচারী ২০ শতাংশ শেয়ার ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩০ টাকার মিতসুবিসি গাড়ী, স্বর্ণ ২ তোলা ইলেকট্রিক সামগ্রী ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্রের দাম ৭২ হাজার টাকা, ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দিতে ২৪ হাজার টাকা মূল্যের ৫০ শতাংশ ভূমি ও ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ২ তলা বাড়ী, ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৫০ টাকা মূল্যের চারটি ফ্লাট ও ১৬ লাখ টাকা মূল্যের চারটি ফ্লাট রয়েছে।
 
এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর ও জমা ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ টাকা, ১৮৮০ সালে উপহার পাওয়া ৫ তোলা স্বর্ণ, ঢাকা ও গাজীপুরে এক লাখ সাত হাজার টাকা মূল্যের প্রায় ৯ কাঠা জমি, সাভারে উপহার পাওয়া ৫ কাঠা জমি রয়েছে। এছাড়াও তিন ফ্লাট ও তিনটি কার পার্কিং রয়েছে। ২০২৩ সালে বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন ভাড়া পান বছরে ১২ লাখ ৪ হাজার ৭০৩ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৭৯ হাজার ৩২৫ টাকা, করযোগ্য আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, কর অব্যাহতি আয় ১৮ লাখ ৮ হাজার ৩৫৬ টাকা, নগদ অর্থ ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৩০ টাকা, ব্যাং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এক কোটি ছয় লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ টাকা, তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানীর শেয়ার ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৬৬ লাখ ৯০ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের গাড়ি, ২ তোলা স্বর্ণ, ইলেকট্রিক সামগ্রী ৮৩ হাজার টাকা ও আসবাব পত্র ৭২ হাজার টাকা। তবে তার স্ত্রী নামের কোন সম্পদ উল্লেখ করেননি।