ভিয়েতনামের নারিকেল চাষ করে লাভবান সখীপুরের মিনহাজ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২ | ১৯৩

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ভিয়েতনামের নারিকেল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা মিনহাজ উদ্দিন। দেশি জাতের  তুলনায় এই গাছে বেশি নারিকেল হয়, তাই অধিক লাভও হয় বলে জানান তিনি। মিনহাজের সফলতা দেখে এই জাতের নারিকেল চাষের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সখীপুরের বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে গজারিয়া, প্রতীমা বংকী, বোয়ালী, কালিদাসসহ সখীপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনেকেই ভিয়েতনামি নারিকেলের চারা লাগান। উচ্চফলনশীল হওয়ায় উপজেলার সর্বত্রই এ নারিকেলের চাষ ছড়িয়ে পড়েছে।

খাটো জাতের নারিকেলের মধ্যে বিশেষ করে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন এবং মালদ্বীপ থেকে আনা উচ্চফলনশীল এসব নারিকেলের চাহিদাই বেশি। বাংলাদেশে ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করা নারিকেলের চাহিদা ব্যাপক।

সাধারণত বাংলাদেশে যেসব নারিকেলের জাত রয়েছে তা মূলত কম উৎপাদনশীল এবং সময়সাপেক্ষ। এসব গাছে ফলন আসতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ বছর। কিন্তু উচ্চফলনশীল খাটো জাতের এই নারিকেল গাছ মাত্র ৩ থেকে ৪ বছরে ফল দিতে শুরু করে।

এ বিষয়ে সখীপুরের দড়িয়াপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘২০১৮ সালে সখীপুরে সর্বপ্রথম আমি ২০টি ভিয়েতনামি নারিকেলের চারা রোপণ করি। এর তিন বছরের মধ্যেই ফলন আসা শুরু করে। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন আরও ভালো হয়েছে। প্রতিটি গাছে ২৫০ থেকে ৩০০টি নারিকেল ধরেছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের মধ্যে ভিয়েতনামি নারিকেল চাষ নিয়ে শঙ্কা কাজ করে। কিন্তু আমি মনে করি সঠিক পরিচর্যা করলে অবশ্যই ফলন আসবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, সখীপুরে বাণিজ্যিকভাবে ভিয়েতনামের উচ্চফলনশীল খাটো জাতের নারিকেলের চাষ হচ্ছে। এ নারিকেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।