বিপৎসীমার উপরে টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২ | ১১৫

বিপৎসীমার উপরে টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হওয়াসহ বেড়েছে ভাঙন। ফলে চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে খাবারসহ বিশুদ্ধ পানির সংকট। তবে বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা মজুত আছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৭, ঝিনাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৪ এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

জানা যায়, পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী এবং ভুঞাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যমুনা নদীর পানি পাড় উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ঘরবাড়ি ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছে খামারীরা। দেখা দিচ্ছে গো-খাদ্যের অভাব। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ১৮টি ইউনিয়নের ১১৫টি গ্রামে পানি ঢুকে পরেছে। এসব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

অন্যদিকে সোমবার বিকেলে যমুনার পানির স্রোতে ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ৬ গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। 

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান জানান, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হবে। 

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলার সকল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। আরও কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও পানি কমলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়বে। ভাঙন রোধে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানান, জেলায় কয়েকটি উপজেলাতে বন্যার পানি বাড়ছে। বন্যার্তদের জন্য শুকনা খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যাকে কেন্দ্র করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ভাঙনরোধ ও বন্যা মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে।