টাঙ্গাইলে ৫ ক্লিনিক সিলগালা, ১টি জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, রোববার, ২৯ মে ২০২২ | ৩০৬

টাঙ্গাইলে দ্বিতীয়দিনেই অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৫টি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫দিনের সময় দিয়ে একটি ক্লিনিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে শনিবার প্রথমদিনের অভিযানে ডিজিল্যাব ক্লিনিককে ৩০হাজার টাকা জরিমানাসহ রোববার পর্যন্তÍ সময় দেয়া হয়েছিল।  সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ সেটি সিলগালা করা হয়েছে।

রোববার (২৯ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ভ্রাম্যামাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। 

জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সুপারভিশন ও মনিটরিং বিষয়ে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধে অভিযান শুরু করে প্রশাসন। অভিযানের দ্বিতীয়দিনে সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় তাৎক্ষনিত বন্ধ ঘোষণা করে চারটি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। এছাড়া একটি হাসপাতাল মালিককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সিলগালাকৃত ক্লিনিকগুলো হলো, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ার রোকেয়া ক্লিনিক, করটিয়া ডিজিটাল ক্লিনিক ও মিতালী ক্লিনিক ও টাঙ্গাইল পৌর শহরের আশেকপুর চক্ষু হাসপাতাল। এছাড়া ১৫দিনের সময় দিয়ে খিদমা স্পেশালাইজড হাসপাতালকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন জানান, যথাযথ আইন অনুসরণ না করে পরিচালিত হওয়ায় শহরের আশেকপুর চক্ষু হাসপাতাল, করটিয়ার মিতালি ক্লিনিক, ডিজিটাল ক্লিনিক, নিউ রোকেয়া ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া শহরের খিদমা হাসপাতালকে ৫০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। বৈধ, অনুমোদনহীন ও যথাযথ আইন অনুসরণ না করে পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া শনিবার পরিচালিত অভিযানে ডিজিল্যাবে সিজারিয়ান রোগী থাকায় ৩০হাজার জরিমানা করে রোববার দুপুর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। আজ সেটিও সিলগালা করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা।