৪২ দিনের শিশুকে যেভাবে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল পুলিশ!

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৪২ দিনের এক শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন ভূঞাপুর পুলিশ। গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার কালিহাতী উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের এক গার্মেন্টস কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

 

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূঞাপুর থানার এস.আই ফাহিম ফয়সাল। উদ্ধাররত ওই শিশু উপজেলার ফলদা গ্রামের দিঘুলিয়াপাড়ার শাহনাজের কন্যা সন্তান। শাহনাজের বাবার নাম শাহেজ উদ্দিন।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি ভূঞাপুর বাজার থেকে শিশুটি তার মায়ের কোল থেকে নিখোঁজ হয় বলে জানা সে। এরপর তিনি থানায় বিষয়টি জানালে শিশুটিকে উদ্ধারে নামে পুলিশ।

 

একপর্যায়ে এক ব্যক্তি জানান, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডে এক নারীর কাছে একটি শিশু প্রচন্ড কান্নাকাটি করছে। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত টাঙ্গাইল বাস শ্রমিক অফিসে উপস্থিত হন। এরপর টাঙ্গাইল জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক লাভলুর মাধ্যমে শিশুর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে কালিহাতী উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের এক মহিলা গার্মেন্টসকর্মীর নিকট থেকে শিশুটি উদ্ধার করা হয়।

 

গার্মেন্টসকর্মী জানান, সে টাঙ্গাইল থেকে

কর্মস্থলে ঢাকা যাচ্ছিল। সেসময় টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডেই বাসের ভেতরেই সিটে তার পাশে একটি মহিলা বসে। ফল কেনার কথা বলে বাচ্চাটি তার কোলে দিয়ে সে নেমে পরে।

 

তারপর তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক অফিসে গিয়ে জানানো হয়। পরে তাদের সহযোগিতা বাড়িতে নিয়ে আসি এবং কালিহাতী থানায় একটি জিডি করা হয়।

 

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার এস.আই ফাহিম ফয়সাল বলেন, 'শিশুটির মা গার্মেন্টসকর্মী। তার বাড়ী উপজেলা ফলদা দিঘুলিপাড়া। সে শাহাজ উদ্দিনের মেয়ে। ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরির সুবাধে লালমনিরহাটের একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে হয়তো তার বিয়ে হয়।

 

শিশুটির মায়ের তথ্য মতে, কন্যা সন্তান হওয়ায় তার স্বামী তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সোমবার দুপুরে শিশুকে নিয়ে সে ভূঞাপুর বাজারে কেনাকাটা করতে আসে। কেনাকাটা করার সময় তার কোল থেকে কে বা কারা কৌশলে শিশুটিকে নিয়ে যায়।

 

ফাহিম ফয়সাল আরও জানান, পরে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে বিকেলে থানায় এসে বিষয়টি অবগত করেন। শিশু উদ্ধারের ঘটনায় কে বা কারা শিশুটিকে নিয়ে গেছে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।