দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ | ২৬৫

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙছে। আজও ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত কভিড-১৯-এ মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৪৯৭ জনে। একই সময়ে আরো ৪ হাজার ২১৭ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।  এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একদিনে আরও ৬ হাজার ৩৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন হয়েছে।

আজকের বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২৬০ টি ল্যাবরেটরিতে ২৪ হাজার ১৫২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

আজ পর্যন্ত দেশে মারা যাওয়া ১০ হাজার ৪৯৭ জনের মধ্যে ৭ হাজার ৭৬৯৪ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৭২৮ জন নারী।

দেশে গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় সরকার। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মাত্র ৩ মাসের মাথায় দৈনিক শনাক্ত ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর  ডিসেম্বর থেকে তা কমতে থাকে। এমনকি একসময় দৈনিক শনাক্ত ৩০০-রও নিচে নেমে আসে। এরই মধ্যে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে কিছুটা স্বস্তি নামে। তবে এই স্বস্তি খুব বেশিদিন থাকেনি। দেশে সংক্রমণের যখন একবছর হতে চলেছে, ঠিক সেসময় নতুন করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিনের সংক্রমণের সংখ্যা। এরই মধ্যে গত সোমবার থেকে সাতদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশ ৩৩তম এবং মৃতের সংখ্যায় ৩৮তম অবস্থানে রয়েছে।