রুপার হত্যা মামলায় ভাইসহ ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮ | ২৯৫
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার ৪র্থ বারের মতো নিহত রুপার বড়ভাই হাফিজুর রহমানসহ ৩ জন জব্দ তালিকার সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

এ নিয়ে মামলার বাদীসহ ১২ জন আদালতে সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হলো।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া দুপুর ১২টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।

নিহত রুপার ভাই হাফিজুর রহমান আদালতের সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য প্রদানকালে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীরাও তার কান্না দেখে আবেগময় হয়ে পড়েন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে প্রায় এক ঘণ্টা জেরা করে।

পরে মামলার সাক্ষী আব্দুল বারেক ও মমতাজ উদ্দিন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের বেলা সোয়া দু’টায় এই জেরা সম্পন্ন করেন। মামলা দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বিচারক আগামী বোরবার ১৪ জানুয়ারি মামলার ৫ আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডকারী চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

উলে­খ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহণ শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়।

পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহণের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) কে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।