যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধু মৃত্যুর অভিযোগ
টাঙ্গাইলে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধু মারিয়া আক্তার (২৫ ) এর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার কুমুদিনী হাসপাতালে থেকে মির্জাপুর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
তার স্বামীর বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে। বাবার বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া গ্রমে।
মারিয়ার চাচা ইব্রাহীম জানান, প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে তার ভাই আলী আজম খানের মেয়ে মারিয়ার বিযে হয় ডুবাইর গ্রামের সমেজ উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের সাথে।
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু হয়। এরই মধ্যে মারিয়ার কোল জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার বয়স ৩ বছর।মারিয়ার দরিদ্র পরিবার যৌতুকের দাবী পুরনে অপারগ হলে আত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
গত কয়েকমাস পুর্বে ডুবাইল গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হলেও সোমবার মারিয়ার স্বামী আবারও তার ওপর নির্যাতন চালায়। পাষন্ড মনির সিগারেটের আগুন দিয়ে মারিয়ার শরীরে ছ্যাকা দেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্য়াতনের এক পর্যায় মারিয়া অচেতন হয়ে পড়লে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে মারিয়ার স্বামীর বাড়ির লোকজন তার মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে মারিয়া মরদেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার তার ময়না তদন্ত শেষে মারিয়ার মরদেহ স্বল্প মহেড়া তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। দেলদুয়ার থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে মারিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
