‘শী পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে:শহীদুল ইসলাম

তনয় বিশ্বাস
প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৫৭৩

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ‘শী পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীরা নিজেরা সাবলম্বী হবে।

 বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সেলিম আহমদ এর সভাপতিত্বে প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ‘শী পাওয়ার’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে নারীরা নিজেরা সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্য ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে। এই উদ্যাগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়া এসময় উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এই প্রশিক্ষণ গ্রহনের মধ্য দিয়ে তোমাদের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়েছে। তোমরা বর্তমানে ‘শী’ বা নারী থেকে একজন ব্যক্তি হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয় পেয়েছো।

শুধু প্রশিক্ষণ গ্রহন করে সার্টিফিকেট পাওয়াই মূল লক্ষ্য নয়। তোমাদের আচার-আচরণ, জ্ঞান এবং মেধার সমন্বয়ে সফলতা অর্জন করতে হবে।’ ভবিষ্যতে অন্য মেয়েদেরকেও তোমরা নেতৃত্ব দিতে পারবে এবং নিজেরা বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি অন্য ব্যক্তিদেরও আত্মকর্মসংস্থাসের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে বলে আমি মনে করি।’

টাঙ্গাইল জেলায় Women Call Center Agent, Freelancer to Entrepreneur, IT Service Provider GB এই তিন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন লেভেলের মধ্য দিয়ে মোট ৫৪৪ জন নারীকে বিভিন্ন মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার মো. হারুন অর রশিদ।

জানা যায়, লেভেল-১ ধাপে দুই মাসে ইন্টার্ণশীপ সম্পন্ন করার পর প্রশিক্ষণার্থীদর প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা বাবাদ দুই মাসে সর্বমোট ছয় হাজার টাকা সোনালী  ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

লেভেল-২ ধাপে দুই মাসে ইন্টার্ণশীপ সম্পন্ন করার পর তাদের প্রত্যেককে প্রতিমাসে চার হাজার টাকা বাবদ দুই মাসে সর্বমোট আট হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

এছাড়া লেভেল-৩ ধাপে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের প্রকল্প থেকে ল্যাপটপ ক্রয় বাবদ এককালীন বিশ হাজার টাকা সরাসরি প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

প্রথম পর্যায়ে সারা দেশে ২১ টি বৃহত্তর জেলায় ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ‘শী পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি জেলায় ৫০০ জন করে মোট ১০৫০০ জন নারীকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।

সফলভাবে প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হওয়ার পর খুব শীঘ্রই শুরু হবে অন্য ৪৩ টি জেলায়।