কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯ | ৫০৬

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার খবরটি সব গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের পর সোমবার পত্রিকা পাঠক এবং খবর শ্রোতাদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুই ছিল ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে।

বাজারের চায়ের দোকানে যেতেই কানে ভেসে আসলো সেই কথা। সরকার দলীয় সমর্থকরা বলছেন প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেবেননা। দুর্নীতি করলে আর পার পাওয়ার কোন উপায় নেই। নিজের আতœীয় যদি ছাড় না পায় তাহলে অন্যেরা পাবে কিভাবে।

কথার সাথে সুর মেলাতে গিয়ে ভিন্ন আদর্শের কয়েকজন বললেন আসলে যা মনে করেছিলাম তা না। শেখের বেটি যা বলে তা করে ছাড়ে। বাপের মতই হয়েছে। কথা অনুযায়ী কাজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন দুর্নীতিবাজ যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবেনা এমনকি আতœীয় বা পরিবারের কেউ হলেও না। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুলীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তিনি সেই কথা রাখলেন। এ যেন যেমনি কথা তেমনি কাজ।

২০১৯ সালে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যাক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠামাত্র তরিৎ ব্যবস্থা গ্রহন চলতে থাকে। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে কেউ পার পায়ণি।

এরই মধ্যে আওয়ামী লীগে ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হতে থাকে বিভিন্ন পর্যায় থেকে। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক বাণি উচ্চানের পরও অভিযোগ উঠতে থাকলে প্রথম পদক্ষেপটি নেন ছাত্রলীগের বিরদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানিকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে সমালোচকরা চমকে গেলেও তারা আবার নতুন করে তাদের সমালোচনা শুরু করে। সমালোচকরা বলতে শুরু করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আতœীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেননা। সমালোচকদের ওই কথারও মুক্ষম জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের দলের মধ্যেই তিনি প্রথম শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। নিজের আতœীয় ওমর ফারুক চৌধুরীকে যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবারও প্রমান করে দিলেন যেমনি কথা তেমনি কাজ। দুর্নীতিবাজ যেই হোক তাকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা।

শামসুল ইসলাম সহিদ
লেখক,সাংবাদিক