ভোলায় ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৫

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:০৪ এএম, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯ | ১৭৯

ভোলার মনপুরায় ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৮অক্টোবর) আলোচিত এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহত আলাউদ্দিনের দোকান কর্মচারী হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা দিবাকর। অপর ৪ জন হলেন, মোঃ শামীম (২০), মোঃ শাহীন (১৮) ও মোঃ মাকছুদ (১৮)। এদের ৩ জনের বাড়ি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাজিকান্দি গ্রামে এবং আবুল কালাম (৩২) হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় নিহত আলাউদ্দিনে দোকানের কর্মচারী দিবাকর ও ভাড়াটিয়া খুনি ৩ জনকে ঢাকাগামী লঞ্চ ফারহান-৩ থেকে এবং আবুল কালামকে চরফৈজুদ্দিন গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী এখনও পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সূত্র ধরে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিহত পরিবারের বাড়ীর পাশে পুকুর থেকে গলাকাটার ব্যবহৃত ২টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুড়ি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলা সদর এস.এম মিজানুর রহমান। পলাতক আসামী জয়নালকে গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে বলে জানান তিনি।

গ্রেফতারকৃত সকল আসামীকে ভোলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য,রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর ওই এজেন্টের নিজ বাড়ির সামনের উঠানে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ও ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা হলেন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মজিবুল হক মোল্লার বড় ছেলে । সে ৪ সন্তানের জনক।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের বিচারদাবী করে থানার সামনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন।

নিহত আলাউদ্দিনের স্ত্রী শাহনাজ আকতার ঝতু (৩২) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার মত আর যেন কোন বোনের এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। আর যেন কোন বোনের স্বামী হারাতে না হয়। আমার ৪টি সন্তান। আমার ছোট ছেলের বয়স মাত্র ১ মাস। আমি ঘটনার সাথে জড়িত সকলের ফাঁসির দাবী করছি।

নিহতের বড় মেয়ে সুমাইয়া বলেন, আপনারা আমার বাবাকে ফিরিয়ে দেন। আমি আমার বাবার কাছে যাব। যারা আমার বাবাকে গলাকেটে হত্যা করেছেন তাদের ফাঁসি চাই। আবেগ আপ্লুত হয়ে নিহত পরিবারের স্বজনেরা এসব কথা বলেন।

এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলা সদর এস.এম মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ২ জন এজাহার ভূক্ত, ৩ জন সন্দেহযুক্ত এবং এজাহারভূক্ত ১ জন পলাতক রয়েছেন। অভিযান চালিয়ে গলাকাটায় ব্যবহৃত ২টি ছুরি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলোর নাম এখনও বলা যাবেনা। আমরা এখনও তদন্ত করছি। আমরা প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।