মির্জাপুরে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে যুবক আটক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় তাকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
আটককৃত যুবকের নাম সোহেল (২০)। পিতার নাম নান্নু মিয়া। বাড়ি উপজেলর ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে। সোহেল একজন মানষিক ভারসাম্যহীন বলে এলাকাবাসী, পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিরা বলছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে দুর্গাপূজা করার আয়োজন করা হয়। ইতোমধ্যে দুর্গা প্রতিমা বানানোর কাজ শেষ করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাগজান গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে সোহেল (২০) কার্তিক রায়ের বাড়িতে দুর্গা মন্ডপে ঢুকে দুর্গা, লক্ষী ও কার্তিক প্রতিমা ভাংচুর করে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দৌড়ে সোহেলকে ধরে ফেলে। পরে সোহেলকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকার লোকজন।
মন্দির কমিটির সভাপতি শুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক শুকুমার রায় বলেন প্রতিমা ভাংচুরকারী যুবক সোহেলের মধ্যে কখনো উশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। তবে তার এলামেলো কথাবার্তা চলাফেরা দেখা গেছে।
মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, সাধারণ সম্পাদক প্রমতেশ গোস্বামী বলেন বিষয়টি একটি স্পর্শকাতর। অভিযুক্ত যুবক ভারসাম্যহীন হলেও বিষয়টি গভিরভাবে তদন্ত করা উচিত।
ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সোহেল মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, এলাকার লোকজন বলেছেন সোহেল একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তারপরও বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।