ভূঞাপুরের টেপিবাড়ী এলাকায় বাঁধ ভেঙে বিস্তির্ন এলাকা প্লাবিত ॥ মেরামত কাজে সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ এএম, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ | ৪৭৯

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের টেপিবাড়ী এলাকায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি বাঁধ ভেঙে বিস্তির্ন এলাকা নতুন করে আরো ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভুঞাপুর-তারাকান্দি বাঁধ (সড়কটি) ভেঙ্গে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের সাথে তারাকান্দি ও সরিষাবাড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে ভূয়াপুর-তারাকান্দি বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশে মেরামতের কাজে অংশ গ্রহন করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। 

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ০৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। ৬টি উপজেলায় নদী তীরবর্তী ২২টি ইউনিয়নের প্রায় ১২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

যমুনার পানির প্রচন্ড চাপে বৃহস্পতিবারা রাতে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। বাঁধটি ভেঙ্গে যাবার কারনে নতুন করে দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এই বাধ ভাঙ্গার কারণে গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলা বন্যা কবলিত হওয়ার বিস্তৃর্ণ এলাকায় বন্যা কবলিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসনের ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে মানুষ উচু বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। 

জেলার বন্যা আক্রান্ত এলাকায়  ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি এবং প্রায় ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ও  ১৯১২ হেক্টর ফসলি জমি এবং সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।