শিক্ষিকার বিদায়ে শিক্ষার্থীদের চোখে অশ্রু


ছবিটি কোন দূর্ঘটনা বা শোকের সংবাদের পরের দৃশ্য নয়। ছবিটি শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসার। যে শিক্ষকদের কাছ থেকে একদিন শিক্ষা নিয়েছেন, চেষ্টা করেছেন নিজেকে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার, সেই শিক্ষকদের বিদায়ে এভাবেই ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এযেন শিক্ষকের প্রতি সন্তানতূল্য শিক্ষার্থীদের শেষ শ্রদ্ধা। যা বর্তমান সময়ে দেখা যেন খুবই দূর্লভ।
এমনই ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের সন্তোষের রানী দিনমণি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের তিন জন শিক্ষিকা বদলির খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। শুধু ছাত্র-ছাত্রীই নয়, তাদের সাথে চোখের জল ফেলেছেন অভিভাবকেরাও। ডিজিটাল যুগেও টিকে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এমন সম্পর্ক।
শিপ্রা রানী পাল পড়াতেন বাংলা বিষয়। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল যোগদান করেন এই বিদ্যালয়ে। বদলী হয়েছেন পাতুলীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দিপালী কুন্ডু পড়াতেন গণিত বিষয়, ২০০১ সালের ১৬ জুলাই যোগদান করেন এই বিদ্যালয়ে। বদলি হয়েছেন কালীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অপরজন খালেদা খাতুন, পড়াতেন ইংরেজী বিষয়, ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারী যোগদান করেন এই বিদ্যালয়ে। বদলি হয়েছেন জাহ্নবী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আর তাদের বদলীতেই এমন বিরহে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিনা পারভীন বলেন, ‘আমরা ৮ জন শিক্ষিকা কাজ করেছি একটি টিমের মত। সকলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ সন্তানের মত লালন-পালনের চেষ্টা করেছি। ছাত্র-ছাত্রীরাও আমাদেরকে মায়ের মত সম্মান দেয়। একসাথে তিনজন শিক্ষিকা বদলি হওয়ায় আমাদের টিমটা ভেঙে গেল। তিন শিক্ষক পৃথক পৃথক বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন। তাদের বদলি হওয়ায় আমরাও মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছি।’