ধনবাড়ীতে শিক্ষকের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে প্রহার

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৪১ এএম, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮ | ৪৬৫

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে শিক্ষকের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে প্রহার করায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরোদ্ধে ধনবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে।

জানাযায়, ধনবাড়ী উপজেলার সাবেক বীরতারা ইউনিয়নের বর্তমান (বানিয়াজান) ইউনিয়নের পঞ্চাশী গ্রামের ছোহরাব আলীর ছেলে মো:ইয়াছিন(১০) একই এলাকার হামিউছুন্নাহ মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীর ছাত্র। মাদ্রাসার শিক্ষক মিজানুর রহমান নিয়মিত ঐ ছাত্র কে দিয়ে তার পরিহিত পাঞ্জাবী, লুঙ্গি, প্যান্ট, কম্বল,কাথা সহ সকল ধরনের কাপড়-চোপড় পরিস্কার করাতো। এবং কী ঐ ছাত্র কে দিয়ে প্রতি রাতেই পা টিপাতো, রাতে রুমে মগে করে প্রসাব করতো সেই প্রসাব ছাত্রকে দিয়ে বাহিরে ফেলাতো। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতে ঐ মৌলভী শিক্ষক ছাত্র কে কু-প্রস্তাব দেয়।

ছাত্র সমস্ত ঘটনা তার মাকে জানালে তার মা মাদ্রাসার পাশের মসজিদের মোয়জিন কে জানায়। বিষয় টি শিক্ষক মিজানুর জানতে পেরে ঐ ছাত্রের মাথায় ও কানে কিল ঘুসি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ইয়াছিন আজ্ঞ হয়ে যায়।

ঘটনাটি ইয়াছিনের পরিবার ম্যানেজিং কমিটির লোকজন কে জানালে তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি। পদক্ষেপ না নেয়ায় ইয়াছিনের নানা বাদী হয়ে ধনবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনা সর্ম্পকে আহত ছাত্র ইয়ছিনের কাছে জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কন্ঠে এই প্রতিদেক কে বলেন স্যার আমি গেছি পড়তে সেখানে হুজুর আমাকে দিয়ে অন্যায় ভাবে যে কাজ করিয়েছে। এবং কী তার কু-প্রস্তাবে রাজি হয়নি এ কারণে আমাকে মেরেছে আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।

ইয়ছিনের সহপাঠি পড়ার সাথী কাকন,সিফাত,রিফাত সহ আরো অনেকে জানান, আমরা দেখছি হুজুর ইয়ছিনকে অনেক মারছে। এই হুজুর অনেক খারাপ আমরা এখন ভয় পাচ্ছি আবার না জানি কার সাথে খারাপ কাজ করবে। আমরা তার উচিৎ বিচার চাই।
আহত ইয়ছিনের নানী ও তার মা জানান, আমাদের ইয়াছিন কে যে শিক্ষক মারছে তার কঠিন বিচার দাবী করছি।

আহত ইয়াছিনের নানা মসলিম ওরফে (বিরিংকিলি) সাংবাদিকদের জানান, আমি ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিচার পাইনি । এই জন্য থানায় মামলা করেছি যদি সঠিক বিচার না পাই তাহলে পুলিশ সুপারের এবং কী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মমর্তাদের কাছে যেতে বাধ্য থাকিব বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এলাবাসী জানায় ম্যানেজিং কমিটির গাফলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পেয়েছে। কারণ ম্যানেজিং কমিটির লোকদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি তেমন জোরালো নজরদারি নেই। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমরা এঘটনা নিয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি। তবে সভাপতির সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি ।

এব্যাপারে বানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল আলম তালুকদার বাবুলের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে ঐ লম্পট মৌলভীর এমন বিচার দাবী করি যাতে আর কোন দিন কোন মৌলভী শিক্ষক ছাত্রদের সাথে খারাপ কাজ সহ কু-প্রস্তাব না দিতে পারে।