নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৫১৩

বগুড়ার নন্দীগ্রাম মুনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নান অনিয়মের অভিযোগ এনে শিক্ষকমন্ডলী লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট।

গতকাল মঙলবার লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই কলেজের ২৮জন শিক্ষকমন্ডলীসহ কর্মচারীবৃন্দরা।

অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, মুনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি অর্থআত্মসাৎ, ছলচাতুরী করে কলেজটি পরিচালনা করে আসছে। এর একপযায়ে শিক্ষক, কর্মচারী হতাশা হয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

১৯৬৭ সালের মুনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজটি স্থাপিত হয়। এরপর তিনি ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব পান। সেই থেকে অধ্যক্ষর সিরাজুল ইসলামের একক সিদ্ধান্তর কারনে জাতীয়করন হয়নি মুনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজটি। কলেজটি জাতীয়করনের নাম করে শিক্ষক-কর্মচারীর নিকট থেকে ২৫লক্ষ টাকা উওোলন করে নেয় তিনি।

অধ্যক্ষ এই টাকার অদ্যবধি কোন হিসাব দেননী কোন শিক্ষকদের। কলেজের অয়-ব্যয়ের হিসাব তিনি তার নিজস্ব শিক্ষক দ্বারা পরিচালনা করেন।এ বিষয়ে অন্য কোন শিক্ষককে তিনি প্রয়োজন মনে করেন না ।

কলেজটির নিরীক্ষন কমিটি তার পক্ষের শিক্ষকদের দিয়ে গঠিত।এ কারনে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কলেজের লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এমন অভিযোগ তুলছেন শিক্ষকমন্ডলীসহ করেজের কর্মচারীরা। এছাড়া জাতীয় কোন দিবসে উপস্থিত থাকেন না অধ্যক্ষ। ওই দিবসগুলোতে তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। প্রতিষ্ঠান চলাকালে তিনি কোন ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত থাকেন।এমনকি প্রতিষ্ঠান চলাকালে তিনি অধিক সময় ধরে ঢাকা অবস্থান করে থাকেন।

কোন নিয়মনীতি না মেনে তার খেয়াল খুশিমতো কলেজ পরিচালনা করে আসছেন। কোন শিক্ষক এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টে তাদেরকে ধমক খেতে হয়। কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতি, ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃক্তি ইত্যাদি বিষয়ে তার কোন পদক্ষেপ নেই তার। প্রতিনিয়তি শিক্ষক, কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচারন করে থাকেন তিনি। সবমিলিয়ে কলেজটির শিক্ষাকার্যক্রম, দূনীতি, অনিয়মে ভরপুর হয়ে গেছে।

এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধবংসের দ্বার প্রান্তে পৌছিয়ে যাবে। তাই ঐতিহ্যবাহী মুনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজটি শিক্ষাকার্যক্রম থেকে রক্ষা করতে এলাকার শিক্ষনুরাগী, অভিভাবকমহল, সরকারের উধর্তন কর্মকর্তাদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারন শিক্ষকমন্ডলীসহ কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে।তার কোন ভিওি নেই। তবে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। আমি সরকারী নিয়মনীতি মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।