ভারতের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের আমলা এখন চান বিয়ে করতে!


ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিলমোহরে বাতিল হয়েছে ৩৭৭ ধারা। সমলিঙ্গে প্রেম এখন আর অপরাধ নয়। আর তার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন ঐশ্বর্য ঋতুপর্ণা প্রধান।
ক’দিন আগেই ভারতের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সমকামীদেরও সমাজে বাঁচার অধিকার রয়েছে। আর এই রায় ঘোষণার পরেই দেশের প্রথম রূপান্তরকামী গেজেটেড অফিসার তাঁর সঙ্গীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার কমার্শিয়াল ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের পারাদীপ সার্কেলের ডেপুটি কমিশনার অফ জিএসটি আগামী বছরেই বিয়ে করবেন। ৩৪ বছরের ঐশ্বর্য ঋতুপর্ণা প্রধান এমনটাই জানিয়েছেন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে।
২০১০ সালে একজন পুরুষ প্রার্থী হিসেবেই ওড়িশা ফিনান্সিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। তখন নাম ছিল রতিকান্ত প্রধান। কান্ধামাল জেলার কানাবাগিরি গ্রামের রতিকান্ত নিজের পুরুষ পরিচয় নিয়েই অস্বস্তি বোধ করতেন। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৪ সালে রূপান্তরকামীদের পরিচয়ের অধিকার দেয়। এর পরে ২০১৫ সালে ঘোষিত ভাবে নিজের লিঙ্গ পরিচয় বদলে ফেলেন রতিকান্ত। নাম নেন ঐশ্বর্য ঋতুপর্ণা প্রধান।
গেজেটেড অফিসার ঐশ্বর্য ঋতুপর্ণা প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘আদালত সমলিঙ্গে বিয়ে এবং তাঁদের সমাজে মাথা উঁচু করে থাকার স্বাধীনতা দিয়েছে। এখন আর শুধুমাত্র পুরুষ-নারীর মধ্যেই বিয়ে হবে না। আদালত এখন আমাদেরও আইনত ক্ষমতা দিয়েছে যে আমরাও আমাদের পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করতে পারব। শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের পক্ষেই অবশেষে রায় দিয়েছে।’’
ঐশ্বর্য জানিয়েছেন, ‘‘আমার প্রেমিক রয়েছে। আমরা শীঘ্রই বিয়ে করতে চাই। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় ছিলাম। এখন সেই বাধা আর নেই। বিয়ের পর কোনও কন্যা শিশুকে দত্তক নিতে চাই।’’