ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২


এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ইন্দোনেশিয়ায়। রোববার দেশটিতে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এরমধ্যে দেশব্যাপী জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
ইন্দোনেশিয়ায় আবারও ভূমিকম্প। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় লম্বক দ্বীপে রোববার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এভাবেই কেঁপে ওঠে চারপাশ। আতঙ্কে চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
এক নারী জানান, আমি টেলিভিশন দেখছিলাম, তখন হঠাৎ-ই ভূকম্পন শুরু হয়। সবাই চিৎকার শুরু করে, বিদ্যুৎ চলে গিয়ে চারপাশ হয়ে পড়ে অন্ধকার।
আরেক পুরুষ জানান, আমাদের সাহায্য করুন। বহু মানুষ মারা গেছে, এছাড়া অনেকেই গুরুতর আহত। জরুরি ভিত্তিতে আমাদের খাদ্য, পানি ও ওষুধের প্রয়োজন। প্রচণ্ড শক্তিশালী ভূমিকম্প আমরা টের পেয়েছি। প্রাণে বাঁচতে সবাই তখন কেবল দৌড়াদৌড়ি-ই করেছি।
লম্বকের নিকটবর্তী বালি দ্বীপেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। জনপ্রিয় এ পর্যটন কেন্দ্রের ঘুরতে আসা মানুষজনও হয়ে পড়েন আতঙ্কিত।
ভূমিকম্পে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনাই ঘটেছে লম্বক দ্বীপে। এখানকার বাড়িঘর ও হোটেলের ছাদ এবং পিলার ভেঙে মৃত্যু হয়েছে বেশিরভাগ মানুষের। এছাড়া, আহত বহু মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, বহু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা এরই মধ্যে জরুরি সেবা চালু করেছি।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩১ কিলোমিটার গভীরে। দুর্যোগের পরপর লম্বক ও বালির উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত উঁচু স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। এছাড়া পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই দেশটিতে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহত হন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।