টাঙ্গাইলে
সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়


টাঙ্গাইলে সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা প্রশাসন। ১৮ জুলাই বুধবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ২০ জুলাই শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন জুয়েল।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও আগামী ২০ জুলাই শুক্রবার থেকে দুই দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত করার জন্য টাঙ্গাইলের সকল শ্রেণির মানুষের উপিস্থিতি সহ সহযোগিতা আশা করেছেন তিনি।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আনিছুর রহমান, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদ এবং টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, ২০ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলানয়তনে সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজরুল রহমান খান ফারুক।
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন মো. শরীফ হোসেন খান, বিশিষ্ট কবি বুলবুল খান মাহবুব এবং জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনার পর সরকারের জনকল্যাণমূরক ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর নির্মিত বিভিন্ন তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়া সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, আধুনিক গান, দেশাত্ববোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয় ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২১ জুলাই শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন টাঙ্গাইল সদর-৫ আসরেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন।
জেলা প্রশাসক খান মো. নুুরুল আমিন এর সভাপতিত্বে বিশেস অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন এবং গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভূ রাম পাল। দ্বিতীয় দিনে সাংস্কৃতিক পর্বে পল্লীগীতি, লালনগীতি, লোকগীতি, জারিসারি, মুর্শিদীগান ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।