ইরানের পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া


ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমালোচনা করেছে রাশিয়া।
তবে ওয়াশিংটন বলছে, কেবলমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে তেহরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে মস্কো। সোমবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরান ইস্যুতে এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন দেশ দু'টির নেতারা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে ইরান।
ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে মতবিরোধ আবারো স্পষ্ট হলো। সোমবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিষয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি যে অচলাবস্থায় পড়েছে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ায় যে সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে সে-বিষয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানিয়েছি। ইরান সম্পর্কে আমাদের অবস্থানের যে কোন পরিবর্তন হবে না, সে বিষয়টিও আমি পরিষ্কার করেছি। চুক্তির শুরু থেকেই আইএইএ-কে সহযোগিতা করার জন্য আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
তবে কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য রাশিয়া ইরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'রুশ প্রেসিডেন্ট সব সময়ই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পক্ষে কথা বলে আসছেন। কারণ ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। ঐ চুক্তির পক্ষে সেসব দেশই কথা বলছে ইরানে যাদের স্বার্থ রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কখনোই অন্যদের পথ অনুসরণ করতে পারে না।'
যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই, নতুন করে অবরোধ আরোপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ দায়েরের করেছে ইরান। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন, বেআইনিভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই জবাবদিহি করা উচিত। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আইনিভাবে লড়াইয়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে ইরান। একদিনের ভারত সফর শেষে ইরানি সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরকচি জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান থেকে ভারত তেল আমদানি অব্যাহত রাখবে। আগামী দিনে নয়াদিল্লী এবং তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।