১৮ বছরের জন্মদিনে বাবার হাতে খুন মেয়ে!


সন্তানের জন্মদিনে কত খুশি হন বাবা-মা। তারা কেক কেটে ঘটা করে সন্তানের জীবনের এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেন। আর এক বাবা কিনা সেই দিনেই অষ্টাদশী চন্দ্রিকাকে নিজ হাতে খুন করলেন!
এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কৃষ্ণ জেলায়৷ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা অনার কিলিং বা পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে নিজের মেয়েকে খুন করেছেন ওই বাবা৷
শনিবার (৩০ জুন) আঠারো বছর পূর্ণ হয়েছিল চন্দ্রিকার৷ বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন পালনের পর বাড়ি ফেরেন তরুণী৷ দিব্যি খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি৷ ইতিমধ্যেই মোবাইল বেজে ওঠলে ফোনে কথা বলতে শুরু করেন তিনি৷ চন্দ্রিকার বাবা ফোনে আড়ি পেতে মেয়ের ফোনালাপ শোনেন। তিনি ধরে নেন কোনও যুবকের সঙ্গে প্রেম করছে মেয়ে এবং তারই সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছে। এতে প্রচণ্ড রেগে যান ওই বদমেজাজী বাবা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ের মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করেন৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই তরুণী৷
বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে থাকতেন নিহত চন্দ্রিকা ৷ ফার্মাসি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি ৷ প্রতিবেশীদের দাবি, পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে নিজের দুই মেয়ের জীবন কঠোর অনুশাসনে বেঁধে রেখেছিল চন্দ্রিকার বাবা৷ মেয়েরা কোনো যুবকের সঙ্গে প্রেম তো দূরের কথা, কথা বলুক এটাও তিনি চাইতেন না। তাই মেয়েকে ছেলেবন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে দেখেই তাকে খুন করেন ওই পাষণ্ড বাবা৷
এ ঘটনায় চন্দ্রিকার বাবার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে৷ পুলিশের অনুমান, আগে থেকেই মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতেন চন্দ্রিকার বাবা৷ কিন্তু সেই সম্পর্ক মেনে নেননি তিনি৷ শনিবার তিনি বুঝতে পারেন, চন্দ্রিকার বয়স এবার আঠার হয়ে গেছে এবং তিনি এখন প্রাপ্তবয়স্ক। শাসনের নাম করে তার ব্যক্তি জীবনে আর দখল দেয়া যাবে না। তাই পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে খুনই করেন ওই ব্যক্তি। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক নিহতের বাবা৷ তার খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ৷