বীজ বিস্তার ফাউনডেশান এর উদ্যোগে
টাঙ্গাইল নিরাপদ পোল্ট্রি খাদ্যে খামারী ও জীবন্ত মুরগী বিক্রেতাদের ভুমিকা বিষয়ে কর্মশালা


বীজ বিস্তার ফাউনডেশান এর উদ্যোগে শনিবার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ রুমে ‘নিরাপদ পোল্ট্রি খাদ্যে খামারী ও জীবন্ত মুরগী বিক্রেতাদের ভুমিকা’ বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: নিতাই চন্দ্র দাস। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: মো. মোতালেব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, খন্দকার হামিদুর রহমান এডভোকেট এবং সদরের প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোছা: মোস্তারী লুবনা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রাণীসম্পদ চিকিৎসক মো. সাইফুল ইসলাম, ফিড বিক্রেতা মো. রফিক, আবদুল আলীম, মুরগী বিক্রেতা মো. শফিুল ইসলাম মো. আজগর আলী প্রমুখ।
বীজবিস্তার ফাউনডেশান এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর হারুন-অর-রশিদ বলেন : মিত্রকে আরও সক্রিয় করে তুলতে হবে এবং শত্রæকে বুঝিয়ে সচেতন করে নিজেদের সাথে যুক্ত করতে হবে। এটাই হবে আমাদের কাজ। স্বার্থ ভিত্তিক সমঝোতা চাই। প্রত্যেক ষ্টেকহোল্ডার এর একটা না একটা স্বার্থ থাকবেই। কেউ তার নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে আপনাদের সাথে আসবে না, নেগোসিয়েসন করতে হবে। আমরা সম্মিলিত ভাবে কাজটা করতে চাই।
ডা: মোতালেব হোসেন ও এডভোকেট হামিদুর রহমান কর্মশালায় মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন, ২০১০ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিভিন্ন বক্তারা পোল্ট্রি সেক্টেেরর বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কর্মশালার সভাপ্রধান সহ সকল বক্তাগনই মনে করেন আইন মানা জরুরী। পাশাপাশি সকল ষ্টেক হোল্ডার সহ জনগণের ( ভোক্তা) সচেতনতাসহ মানবিক মূল্যবোধের উপর জোর দিয়েছেন।
প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ নিতাই চন্দ্র বলেন, আসলে আমাদের নিয়ন্ত্রনটাই বড় সমস্যা। আমরা মানবিক মূল্যবোধের নীচে আছি। পোল্ট্রিখাদ্যের মধ্যে সমস্যা আছে। আমি মনে করি আপনাদের সকলের প্রচেষ্টা থাকলে এই সেক্টরের অনেক উন্নতি হবে। এই সেক্টরকে ক্লোজ মনিটরিংএ আনতে হবে। পোল্ট্রি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আমিষ। মেধাবী জাতি গঠনে প্রত্যেকের আমিষ গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিষিদ্ধ। খামারীরা সংগঠিত হবেন।
মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভাল জিনিস দিয়ে কোন কিছু উৎপাদন করলে যেমন ভালো হয় তেমনি পোল্ট্রি মুরগীকে ভালো ফিড দিলে ভালো ডিম ও মাংশ পাওয়া যাবে। ভালো খাবার খেতে পারলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়। আবার ভালো কাজের শত্রæও বেশী। আমরা আজ বীজবিস্তার সাথে জরিয়ে পরছি আমাদের বোধের থেকে।
এই দেশটা অর্জন করতে ৪৬ বছরে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। খামারী, বণিক সমিতি, সাংবাদিক, ভোক্তা সকলে এখানে আছেন। পোল্ট্রি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ সকলকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।