টাঙ্গাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত


আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী ।
বঙ্গমাতা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। ১ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণ করেন।
টাঙ্গাইলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবাষিকী উদযাপন উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সকাল সোয়া ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাসভা। বেলা সাড়ে ১০টায় সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান বিতরণ এবং বাদ যোহর ও অন্যান্য সুবিধাজনক সময়ে সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সহযোগিতা করছে।
মঙ্গলবার ( ৮ আগষ্ট ) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন ও জেলা প্রশাসক মো.কায়ছারুল ইসলাম ।
এছাড়াও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আশরাফুজ্জামান স্মৃতি শাহজাহান আনছারী, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরণ, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাজমুল হুদা নবীন প্রমুখ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুননেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল। তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছায়ার মত অনুসরণ করে বেগম মুজিব জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন। এজন্য তাকে অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।