পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী অন্তসত্বা, দুলাভাই গ্রেপ্তার


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুলাভাই কর্তৃক ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী সাত মাসের অন্তসত্বা হয়ে পড়েছে। শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ রাতেই ধর্ষক সবুজ মিয়া (২৪)কে তার শ্বশুর বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সলিমনগর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
ধর্ষক সবুজ মিয়া জেলার ঘাটাইল উপজেলার গর্জনা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানান, প্রায় দেড় বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সলিমনগর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে ঘাটাইল উপজেলার গর্জনা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে সবুজ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই সবুজের নজর পরে স্কুলপড়ুয়া শ্যালিকার দিকে।
গত সাত মাস আগে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসে সবুজ। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শ্যালিকাকে ফুসলিয়ে কাছে নেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করেন। শ্যালিকা কান্না করলে দুলাভাই সবুজ মিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবে শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সবুজ মিয়া। এতে শিশুটি অন্তসত্বা হয়ে পড়ে।
গত কয়েকদিন আগে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তার কাছে অসুস্থতার কারণ জানতে চায়। এক পর্যায় শিশুটি বাড়ির লোকজনকে বলে দেয়, দুলাভাই সবুজ তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে বাড়ির লোকজন কৌশলে সবুজ মিয়াকে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে আনেন। এর আগে শ্বশুর মেয়ের জামাই সবুজের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) মির্জাপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতেই শ্বশুরবাড়ি থেকে ধর্ষক সবুজ মিয়া গ্রেপ্তার করে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ জানান, ধর্ষক দুলাভাই সবুজকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্কুলপড়ুয়া শিশু শ্যালিকাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, বুধবার সকালে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ধর্ষক সবুজ মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।