বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ
লুটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে খাদে পড়ে যায় বাসটি


সূত্র জানায়, বাসটি মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত গিয়ে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে ইউটার্ন নিয়ে আবার টাঙ্গাইলের দিকে যাত্রা করে। একপর্যায়ে লুণ্ঠিত টাকা ও মুঠোফোনের সংখ্যা নিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ডাকাত দলের এক সদস্য বাসের এক যাত্রীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং ওই টাকা লুকিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন অন্য সদস্যরা। পরে একজন আরেকজনের দেহ তল্লাশি শুরু করেন। এ সময় চালকের আসনে গ্রেপ্তার রাজা মিয়া নন, দলের আরেক সদস্য ছিলেন। তিনি পেছন দিকে ফিরে ভালোভাবে তল্লাশি করার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। তখন বাসটি খাদে পড়ে যায়।
পুলিশের ওই সূত্র আরও জানায়, বাসটি খাদে পড়ার পর ডাকাত দলের সদস্যদের সবাই জানালা দিয়ে দ্রুত বের হয়ে যান। তাঁরা রক্তিপাড়া থেকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে মধুপুরের দিকে দৌড়াতে থাকেন। এভাবে প্রায় এক কিলোমিটার যাওয়ার পর তাঁরা একটি বাসকে সংকেত দিয়ে থামান। প্রথমে তিনজন ওই বাসে ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর বাকিরা বাসটিতে ওঠেন। তাঁরা নিজেদের পরিবহনশ্রমিক বলে পরিচয় দেন। মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে তাঁরা নেমে পড়েন। পরে অটোরিকশায় ডাকাত দলের এক সদস্যের আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। সকাল হতেই তাঁরা ওই বাড়ি থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান। তাঁরা ৫টি স্মার্টফোন, ১২-১৩টি সাধারণ ফোন এবং ৩ হাজার ৪০০ টাকা লুণ্ঠন করেন। যে ২০ হাজার টাকা নিয়ে তাঁদের দ্বন্দ্ব হয়, সেই টাকা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি।