অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও  বিচার দাবি

নিহত গোবিন্দের বাড়িতে কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদ ও ঐক্য পরিষদের নেতারা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২ | ৩৭৩

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিহত গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্যরে বাড়িতে এসেছিলেন বাংলাদশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামে উপস্থিত হয়ে নিহতের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান। সেইসাথে খুন হওয়ার কারণ উদঘাটন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। এসময় এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।  

কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, আমরা মনে করি এটি একটি ক্লিন মার্ডার। এটা বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ সবার। এ মর্মান্তিক ঘটনার বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও আসামীরা গ্রেপ্তার হয় নি। অতি দ্রুত খুনের সঠিক কারণ বের করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

নিহতের পরিবারকে সকল ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডিএন চ্যাটার্জী, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্লড ও  সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক কুমার পাল।

আরো বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ গুণ ঝন্টু, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা: গণেশ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সেন, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পতিশ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক গুপি নাথ মোদক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নারান্দিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুভাষ চন্দ্র আর্য্যের বড় ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্য গত ১১ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে (১২ এপ্রিল) সকালে কালিহাতীর ধলাটেঙ্গর এলাকায় রেললাইরে পাশে থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গোবিন্দের সারা শরীরে আঘাত ও জখমের দাগ ছিল। গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্য স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। এঘটনায় পুরো এলাকা স্তব্ধ এবং শোকের ছায়া নেমে এসেছে।