যমুনা, ধলেশ্বরী আর ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

স্টার্ফ রিপোটার
প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, রোববার, ২৯ আগস্ট ২০২১ | ৩৭১

উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আর ও অবনতি হয়েছে । 

রোববার (২৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম। 

তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এর শাখা লৌহজং ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরও জানান, যমুনাসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া বিভিন্ন গ্রামে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন নিরুপন করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমে গেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়রা জানায়, পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার অর্ধশতাধিক চরাঞ্চলসহ টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার নি¤œাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন গ্রাম বন্যার কবলে পড়ছে। এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত আছে নদী ভাঙ্গন। ভাঙনের ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও বাসাইলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শতাধিক বসতভিটা, মসজিদ, বাঁধসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে জরুরি কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগিরা। এদিকে নদী তীরবর্তী এলকায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই গবাদিপশুসহ উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। বসতভিটায় পানি উঠায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটের মধ্যে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। এ পরিস্থিতিতেও এখন পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি কোন সহযোগীতা পাননি বলে অভিযোগ এই বানবাসীদের।

এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার বলেন, চলতি বন্যায় আমার ইউনিয়নের আলীপুরসহ আশেপাশের এলাকার প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়েছে। এছাড়াও শত শত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। রয়েছে ভাঙন অব্যাহত।