‘দেখছি কী করা যায়’, ভারত-চিন সঙ্ঘাতে মধ্যস্থতায় আগ্রহী ট্রাম্প


এ বার ভারতও চিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ নিয়ে গত সোমবার লাদাখে চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় জওয়ানদের। তাতে দু’পক্ষেই প্রাণহানি ঘটে। গোটা ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে এ বার এগিয়ে এলেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, বড্ড কঠিন সময় চলছে। ভারত এবং চিন, দুই দেশের সঙ্গেই কথা চালাচ্ছে আমেরিকা। দেখা যাক কী করা যায়।
করোনা সঙ্কটের মধ্যেই নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প। ওকলাহোমায় নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে ট্রাম্প বলেন, ‘‘খুব কঠিন সময় চলছে। ভারতের সঙ্গে কথা বলছি আমরা। চিনের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। খুব বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে দু’পক্ষ। দেখছি কী করা যায়। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা ওদের সবরকম ভাবে সাহায্য করতে চেষ্টা করব।’’
তবে গোটা ঘটনায় শুরু থেকেই ভারতের পক্ষ নিয়ে আসছে মার্কিন সরকার। গোটা সংঘর্ষের পিছনে চিনের জমি দখলদারির নীতির দিকেই আঙুল তুলেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো বলেন, ‘‘চিনা বাহিনীই বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সঙ্গে পায়ে পা দিয়ে ঝামেলা বাধিয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরের সামরিকীকরণের পাশাপাশি বেআইনি ভাবে সেখানে জমিও দখল করে চলেছে তারা। তাদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র অঞ্চলগুলি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।’’
পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে যা ঘটছে, সে দিকে গোড়া থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নজর রাখছেন বলে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে গত সপ্তাহেই জানান হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব কেইলি ম্যাকেনানি। ২ জুন এ নিয়ে ফোনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের কথাও হয় বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে ভারতের সমর্থনে গলা চড়ান রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ল্যান্স গুডেন। চিনকে কোনও ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার