দেশে করোনা শনাক্ত আরো ৪৩৪ জনের, মৃত্যু বেড়ে ১১০


দেশে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৩ হাজার ৩৮২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হলো। এছাড়াও একই সময়ে দেশে আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১০ জনের মৃত্যু হলো।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৩ হাজার ১২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯৭৪টি নমুনা; যা আগের দিনের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে আরো দুজন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে ৮৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চারজন নারী বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে তিনজনের বয়স ষাটোর্ধ্ব, আর ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের রয়েছেন ৩ জন এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের তিনজন।
গেল ২৪ নতুন করে ৮৯ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. নাসিমা সুলতানা। এ নিয়ে মোট আইসোলেশনে আছেন ৭৬৫ জন। তবে বর্ণিত সময়ে আইসোলেশন থেকে ছাড়াও পেয়েছেন দুজন। আর এখন পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন ৫৭৯ জন।
কোয়ারেন্টিনের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৪ হাজার ১৬৮ জনকে এবং এ পর্যন্ত মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে এক হাজার ৪২৪ জনকে। এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে সাত হাজার ১২ জনকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৯২ জন। যা নিয়ে সবমিলিয়ে ছাড় পেলেন ৭৭ হাজার ৪ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। তবে অবশ্যিই স্বাস্থ্যবিধি মেন।