খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে সাবেক এমপি রানা'র হটলাইন সেবা

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ | ৪২৪
করোনা ভাইরাসে কর্মহীন গরিব নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান (রানা)র পক্ষথেকে হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে ৷
 
সাবেক এমপি রানা'র নির্দেশনায় গত ৫ই এপ্রিল থেকে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য বাড়ি বাড়ি পৌছে দিতে (০১৭১১০৭২৬১৫ এবং ০১৮৯১৮৫৬৮৬৭) দুটি হটলাইন সেবা চালু করা হয় ৷ 
 
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নির্দেশে গরিব ও দুস্থদের মাঝে রাত দিন নিরলস ভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন সাবেক এই সাংসদ ৷ ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন ঘাটাইলকে লক ডাউন ঘোষনা করে ৷ এর ফলে বিপাকে পড়ে সাধারন জনগন ৷ ঠিক সেই মুহুর্তে হটলাইন চালু করেন এবং সাধারন জনগন যাতে ঘরে বসেই খাদ্য পায় সেই ব্যবস্থা করেন ৷
 
সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এবং ঘাটাইলের জনগণের ভালোবাসার দায়বদ্ধতা থেকেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।দয়া করে এটাকে কেউ করুনা বলা ত্রাণ বলবেন না।এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘাটাইল বাসীর জন্য আমার উপহার।যেকোনো সহায়তার জন্য দয়া করে আমাদের হটলাইনে কলেজ করুন।বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পরে থেকে আমাদের সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে পুরো রমজান মাস পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে।
 
এই বিষয়ে হটলাইন সেন্টারের মাসুদুর রহমান শুভ বলেন, আমরা গত ৫ই এপ্রিল থেকে হটলাইন সেবা প্রদান করে যাচ্ছি ৷ প্রতিদিনই অনেক অনেক কল আসছে জরুরী খাদ্য পাওয়ার জন্য সেগুলো আমরা তালিকা তৈরি করে আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান রানা ভাই'র কাছে দিচ্ছি ৷ সেই তালিকা অনুযায়ী রানা ভাই নিজে এবং রানা ভাই'র সেচ্ছাসেবক টিম রাতের আধারেই বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন ৷
 
হটলাইন সেন্টারের রাসেল জামান বলেন, এপর্যন্ত আমরা ১৪শত পরিবারের মাঝে হটলাইন সেবায় খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিছি ৷
 
এ বিষয়ে ভোক্তভোগী কুশারিয়া গ্রামের (নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমার ঘরে প্রয়োজনীয় খাবার ছিল না সেজন্য সাবেক এমপি রানা'র হটলাইনের নাম্বারে কল দিয়ে জরুরী খাদ্য চাই ৷ রাতেই তার লোকজন আমাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়ে যান ৷ হামিদপুর নাটশালা গ্রামের একজন বলেন, স্বামী বিদেশে থাকাতে বাচ্চাদের নিয়ে বিপাকে ছিলাম, ঘরে চাল ছিল না ৷ তাই হটলাইনে কল করি সকালে আমাদের বাড়ি ত্রান পৌছে দেয়া হয় ৷
এই হটলাইন সেবার আওতায় আসায় ঘাটাইলবাসী খুবই খুশি এবং স্বস্তিতে রয়েছেন বলে জানান ভোক্তভোগীরা ৷