টাঙ্গাইলে মাদের পা ধুয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ৫০৯

টাঙ্গাইলে পতিবছরের মতো এবছরও ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে মায়েদের পা ধুয়ে ভালোবাসা প্রদান করে পালন করছে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ভালোবাসা দিবসে প্রেমিক প্রেমিকাদের মানসিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যেই এভাবে দিনটি পালন করছে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী।

ভালবাসা দিবস শুধু তরুন তরুনীর যুগল প্রেম নয়। এর বাইরেও কিছু হতে পারে তা দেখিয়ে দিলো টাঙ্গাইলের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থী।

এ দিনটি মাকে উৎসর্গ করলো তারা। পা ধুয়ে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল প্রায় দেড় শতাধিক শিশু। টাঙ্গাইল শহরের এসপি পার্কে ৪র্থ বারের মতো ১৪ ফেব্র“য়ারি মায়ের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সন্তানের কাছে এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়ে আবেগে আপ্লুত মায়েরা আর শিশুরা হয়েছে আনন্দিত। অনুষ্ঠান শেষে দেড় শতাধিক মা’দের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

অংশগ্রহণকারী অভিবাবকরা বলেন, এরকম অনুষ্ঠান একটি সন্তানের মানসিক পরিবর্তন ও গঠনে সঠিক ভুমিকা রাখবে এবং বড় হয়ে তারা জানবে ভালোবাসা দিবস শুধু বন্ধু বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই নয়। এই দিনে বাবা মাকে সময় দিতে হবে। তাদের প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করতে হবে। আর এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের উপদেষ্টা ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ জানান, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মাদের পা ধুয়ে দিচ্ছে বাচ্চারা। এটি একটি অনন্য উদাহরন, মায়েদের প্রতি শিশুদের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্যই এই দিবসকে স্কুলের আয়োজন নিশ্চয় ভালো উদ্যোগ।

উদ্যোক্তা হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যায় সন্তানদের অবহেলায় বৃদ্ধ বাবা-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়। যা খুবই বেদনার। আমরা মনে করি ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ভাগিদার বাবা-মা। যদিও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না।

তারপরও বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা এনে দিতেই  ১৪ ফেব্র“য়ারি ৪র্থ বারের মতো থাকছে মা দের নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে আমাদের আয়োজন।

শিশুকে যদি বলেন ভালোবাসি, শিশু বলবে ভালোবাসি কারণ শিশু অনুকরন অনুসরন করতে পছন্দ করে। মুলত নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তুলতেই আমাদের এই আয়োজন।