ইভিএমে মেলেনি সিইসির আঙুলের ছাপও

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ৪৩২

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) না মেলায় বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে নিজের ভোট দেন সিইসি।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার সিইসি।

কেন্দ্রে ঢুকে তিনি ইভিএমে আঙুলের ছাপ দিলে সেটি শনাক্ত করতে পারেনি মেশিন। পরে আবারো ছাপ দেন। তাতেও কাজ না হলে উপস্থিত দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রটি দেন সিইসি। সেখান থেকে এনআইডি নম্বরটি তোলার পর আবারো আঙুলের ছাপ দিলে স্ক্রিনে তার ছবিসহ পরিচয় ভেসে উঠে। পরে তিনি বুথে গিয়ে ভোট দেন।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট ৮-৯ বছর আগের। ঘামে ভেজা থাকায় হয়তো মেলেনি, পরে এনআইডি দিয়ে ভোট দিয়েছি।

তিনি বলেন, অনেকেই এই সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে ভোট না দিয়ে কেউ যাবেন না। আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা আছে। বিকল্প ব্যবস্থায় ভোট দেওয়া যাবে।

ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, এজেন্টদের কেন্দ্রে টিকে থাকতে হবে। যদি কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে তাদের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে হবে। এ অভিযোগেও যদি সমাধান না হয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হতে হবে। সেটা না করে বাইরে গিয়ে অভিযোগ করবেন, এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে, সেই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এজেন্টদের ধৈর্য ধরতে হবে। তারা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ করবেন। এসব না করে বের হয়ে অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হবে না।

ইভিএম ভোটারদের ইতিবাচক সাড়া মিলছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা খুশি। ভোটের পরিবেশ খুব শান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট। ভোট দিচ্ছেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট চলছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়া এ ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোট হচ্ছে।

ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।