ভূঞাপুরে পিইসি পরীক্ষায় চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭ | ৪৬৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ১০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা। আর এ পরীক্ষায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতায় চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীদের চেয়ে প্রশ্নপত্র কম সরবরাহ, ইবতেদায়ী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের সরবরাহ এবং কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন বিক্রি ও ফাঁসের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। এদিকে এসব অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নেই বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা।

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পিইসি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে পাওয়া গেছে এমনই চিত্র। এছাড়াও পরীক্ষার কেন্দ্র ব্যতিত সকল স্কুল খোলা ও ক্লাশ কার্যক্রম চালু থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। শিক্ষক নেতাদের ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই ওই সকল স্কুলের শিক্ষকরা রয়েছেন অলিখিত ছুটিতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কতিপয় স্কুল ও কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের সুবিধা দিতেই শিক্ষা কর্মকর্তা নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। একাধিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে থানা থেকে প্রশ্নপত্র উত্তোলণ করে বিভিন্ন কেন্দ্র সরবারহ করার থাকলেও সেই নিয়ম তিনি মানেন না।

সময়ের অনেক আগেই তিনি নিজে একা থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করেন। নিজেই তা বিভিন্ন কেন্দ্র সরবাহ করে থাকেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশ্ন কম যাওয়ার কারণে আমরা মনে করছি প্রশ্ন ফাঁস ও বিক্রির সাথে তিনি জড়িত।

প্রশ্ন কম পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ভারই কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক মাছুদা বলেন, ইংরেজী পরীক্ষায় কেন্দ্রে তিনটি প্রশ্নপত্র কম পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষা শুরু ২৫ মিনিট পর শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন নিজে এসে তা সরবারহ করেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলগুলোতে শিক্ষক কম থাকায় ওই সকল বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছেনা।

সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা প্রবেশ করলে অন্যরাও প্রবেশ করতে চায়। এ কারনে উপর মহলের নির্দেশে সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।

এবিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ বলেন, উল্লেখিত অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।