‘হংসবলাকা’ নামল দেশের মাটিতে
বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত হলো ৪র্থ প্রজন্মের দ্বিতীয় বোয়িং ড্রিমলাইনার-হংসবলাকা।
গতরাত পৌনে ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রে সিয়াটল থেকে সাড়ে ১৫ ঘণ্টার যাত্রা শেষে হযরত শাহজালালে অবতরণ করে অত্যাধুনিক এ বোয়িংটি। সদ্য যুক্ত হওয়া এ ড্রিমলাইনার দিয়ে ১০ ডিসেম্বর থেকেই লন্ডন, দাম্মাম এবং ব্যাংকক-এ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্বমানের এ যাত্রীবাহী বিমানগুলো বাংলাদেশকে সিভিল অ্যাভিয়েশনে ক্যাটাগরি ওয়ান অর্জনের পথে সহায়ক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং নির্মাণের কারাখানা থেকে ১৫ ঘণ্টার বিরতিহীন যাত্রায় ড্রিমলাইনার হংসবলাকা হযরত শাহজালালে পৌঁছায় শনিবার রাত পৌনে ১২টায়। লালসবুজ পতাকাবাহী অত্যাধুনিক এ বোয়িংকে বিমান বাংলাদেশের বহরে স্বাগত জানায় বিমান কর্তৃপক্ষ।
আকাশবীণার পর বিমানের বহরে দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার এটি। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওয়াইফাই সুবিধা, সর্বাধুনিক থ্রিডি ম্যাপিংসহ শূন্যে ভেসেই এ বিমান থেকে বিবিসি, সিএনএনসহ ৯টি টেলিভিশনের লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে। ২৫০টি সফ্টওয়ার দিয়ে ভূপৃষ্ঠ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে এ বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যাবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, ‘নতুন এই বিমানের নানাবিধ সুবিধার কারণে এতে দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণেও যাত্রীরা ক্লান্তি কম অনুভব করবে। তিনি আরো বলেন, এই অত্যাধুনিক বিমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১১২ জন দক্ষ প্রকৌশলী লন্ডন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছে।
বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া নতুন এ দুটি বোয়িং দিয়ে সপ্তাহে ৬ দিন বিরতিহীন ঢাকা-লন্ডন, ৪ দিন ঢাকা-দাম্মাম এবং ৩ দিন ঢাকা-ব্যাংকক ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বিমান এবং আগামী ১০ তারিখ থেকেই শুরু হবে এ ফ্লাইটগুলো।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ বিমানের বহরে যুক্ত আরও দুটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যুক্ত হলে বাংলাদেশ নিউইয়র্ক, টরোন্টো কিংবা সিডনীর মতো গন্তব্যেও ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।