পরকীয়া প্রেমের বলি এক নবজাতক

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭ | ৫৫০

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়া প্রেমের বলি হয়ে জন্মের প্রথম দিনেই প্রাণ গেল এক নবজাতকের।

পৃথিবীর আলো বাতাসই নবজাতকটির জন্য কাল হল। জন্মে মাত্র বার ঘন্টার মধ্যেই ঘাতক মা হত্যা করল তার শিশু সন্তানটিকে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্বামী বিদেশ থাকায় পরকীয়ার কারণে জন্ম নেওয়া সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বামীর পরিবার অভিযোগ করেছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি সকরেছে।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা উত্তরপাড়া গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা উত্তরপাড়া গ্রামের মানিক হোসেনের স্ত্রীর নাম রিনা বেগম। মানিক দীর্ঘদিন ধরে কাতারে থাকেন। সর্বশেষ মানিক গত ১৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে বিদেশে যান।স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তার স্ত্রী রিনা বেগম একই গ্রামের শিপন মিয়া নামে এক যুবকের সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে অন্তসত্তা হয়ে পড়েন।

ঘটনা জানাজানি হলে রবিবার রিনা বেগম তার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি মির্জাপুরের মুশুরিয়াঘোনা গ্রামে আসে। ঐ বাড়িতে সোমবার বাথ রমে সন্তান প্রসব হলে রিনা বেগম সন্তানকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে।

ওই সময় নবজাতকের প্রথম কান্না শুরু হয়। বাড়ির লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে রিনা বেগম ও শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায়।


পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তেরর জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে গৃহবধুর স্বামী মানিকের পিতা মো. বজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে মানিক বিদেশ থাকে। পুত্রবধুর যে সন্তাান হয়েছে তা অবৈধ সন্তাান হওয়ায় জানাজানি হবে বিধায় তার পুত্রবধু রিনা বেগম সন্তানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে গৃহবধু রিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের সন্তান হত্যা কথা অস্বীকার করে বলেন বাথরমে বাচ্চা হওয়ায় তুলতে গিয়ে চাপ লাগতে পারে।তবে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে অবৈধ সন্তান ধারনের কথা রিনা বেঘম স্বীকার করে।

রিনা বেগমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়ীত টাকিয়া কদমা গ্রামের শিপন মিয়া নামের এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে। রিনা পুলিশ পাহাড়ায় কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এ কে এম মিজানুল হক বলেন রিনা বেগমের স্বীকারোক্তিম অনুযায়ী পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে।রিনার শশুর বজলুর রহমান অবৈধ গর্ভপাতের মাধ্যমে শিশু হত্যার জন্য মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছ।