সাজা বাতিল না হলে ‘নির্বাচনে অযোগ্য’ খালেদা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮ | ২৩৩

দুর্নীতির মামলায় সাজা বাতিল না হলে খালেদা জিয়া আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম

যদিও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা আগেই হারিয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়ে মঙ্গলবার রায় দেন হাইকোর্ট।

এই রায়ের পর খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা – এমন প্রশ্নের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘এখানে দুই রকম ব্যাখ্যা আছে। এক. সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা। আর দুই. সাজা বাতিল করা। এক্ষেত্রে আমার অভিমত হলো, সাজাপ্রাপ্ত কেউ যদি নির্বাচন করতে চান, তাহলে তার সাজাটা আদালতের মাধ্যমে বাতিল হতে হবে। আর সাজা স্থগিত থাকলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

এই রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬(২) ডি অনুচ্ছেদ অনুসারে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার অযোগ্য আগেই হয়ে গেছেন। এখন আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কারণ আগেই এই মামলায় ওনার ৫ বছর সাজা হয়েছে। তাছাড়া উনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। সংবিধানে বলা আছে, ‘নৈতিক স্খলনের দায়ে কেউ যদি দুই বছর দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, তাহলে এই সাজা শেষ হওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’

মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া এই মামলায় হাইকোর্টে আপিল করা অন্য দুই আসামিকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজাই বহাল রাখেন।