শীতের আগমনী বার্তা

লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়

হাসেম আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ | ৩০৫

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের অনেকটা আমেজ শুরু হয়েছে। ভোররাতে হালকা ঠান্ডা আর সকালের মৃদু শীত শীত ভাব বলে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীতের আগমনী বার্তা। সেই সাথে ভোরের মিষ্টি রোদে মাঠের সবুজ ঘাসের গায়ে লেপ্টে থাকা শিশির বিন্দুর ঝলকানি শীতের সকালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে ঠাকুরগাঁও বাসীকে।

কার্তিকের শুরুতেই ভোরে কুয়াশা, হালকা শীত এবং রাতে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। পঞ্জিকার হিসাবে ১৬ই অক্টোবর শুরু হয়েছে কার্তিক মাস, অর্থাৎ হেমন্ত কাল। পৌষে শীতের আগমন হবার কথা থাকলেও হেমন্তের শুরুতেই আগমনী বার্তা দিচ্ছে শীত। পঞ্জিকা অনুযায়ী শীতের বাকি এখনো অনেক দিন, কেবল শুরু হেমন্তকাল। অথচ এই হেমন্তের শুরু থেকেই প্রকৃতিতে পরিবর্তনের শীতের আগমনী বার্তা উঁকি দিচ্ছে। পর্যটন এলাকা ও চায়ের রাজ্যে এরই মধ্যে শীত পড়তে শুরু করেছে। সূর্যের আলোয় দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই শীত অনুভূত হতে শুরু করছে। সন্ধ্যায় হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কমছে রাতের তাপমাত্রা। যেটা থাকছে সকালের সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত। সকাল বেলা ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে এ অঞ্চলের প্রকৃতি।

গড়েয়া বাজারের চা ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, ‘দিনে রোদের তাপ বেশ ভালোই থাকে। সন্ধ্যা হতেই বইতে শুরু করে ঠান্ডা হাওয়া। সারারাত চা বিক্রি করি রাত ১২টার পর তা আরো বেড়ে যায়। রাতে গরম কাপড় গায়ে দিয়ে চা বিক্রি করতে হয়। আর সকালে দেখা যায় ঘন কুয়াশা।’

এদিকে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়, ফলে শীতের আগেই এসব দোকানিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগে ভাগেই শীত নামায় লেপ-তোষকের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন গড়েয়া হাটের লেপ-তোষকের দোকানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘এবার একটি লেপ বানাতে ১২০০-১৪০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। সারা দিনে ২০-৩৫টা লেপ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া আগাম ঠান্ডা পড়ায় স্টকে রেডিমেট লেপ-তোষক রাখা হয়েছে ।’

অন্যদিকে গড়েয়া হাট, ভূল্লী বাজার, খোঁচাবাড়ি এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোয় শীতের কাপড়ের পসরা দেখা গেছে। বিক্রিও মোটামুটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন দোকানি।