মিয়ানমার যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
 
												 
																			রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসেই মিয়ানমার সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার সচিবালয়ে জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর কর্মসূচি আগেই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের কারণে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রেক্ষাপটে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ সফর আদৌ হবে কি না, হলেও কবে হবে- তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
মিয়ানমার সফরের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ২৫ আগস্টের পর নতুন করে যে ঘটনাগুলো সংযুক্ত হয়েছে সেগুলো নিয়ে আলাপ করব। মিয়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূত দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এজেন্ডা ঠিক করবেন।
তিনি বলেন, গত ২৫ আগস্টের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এটাই আমাদের মেইন এজেন্ডা হবে। আমরা এ বিষয়ে কথা বলব। যাতে মিয়ানমার শিগগিরই তাদের ফিরিয়ে নেয়। এছাড়া পূর্বনির্ধারিত যে এজেন্ডগুলো ছিল সেগুলো নিয়েও আলাপ হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত সেগুলো নিয়েই কাজ করছেন।
সফরের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় এ মাসের মধ্যেই হবে।
মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল এসে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি (মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দফতরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়ে) বলে গেছেন, আমরা নেয়ার জন্য তৈরি হয়েছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব সময়ই যোগাযোগ রাখছেন। আমরা মনে করি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সবাইকে ফেরত পাঠাতে পারব।
রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে ইয়াবা বহনসহ চোরাচালান হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে রোহিঙ্গা একজন, দুইজন, ১০ জন, ২০ জন করে ঢুকতেন। কিন্তু এই মুহূর্তে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকে গেছে। প্রথম কয়েকদিন আমাদের পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা সবাই মিলিতভাবে কাজ করছেন, এখন কিন্তু সেই অরাজক পরিস্থিতি নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অবশ্যই ভালো রয়েছে।’
‘ইয়াবা প্রতিরোধ একটা কিন্টিনিউয়াস প্রসেস ছিল। এখন ইয়াবা আসবে না এ কথা আমরা জোর গলায় বলছি না। সেজন্য যারা আসছে, যেখানে সন্দেহ হচ্ছে তল্লাশি করছি, সেগুলো আমাদের নজরদারিতে আছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা তাদের (আশ্রিত রোহিঙ্গা) বলে দিয়েছি বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় কান দেবেন না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে উপদেশ দেবে তা আপনারা মেনে চলবেন। প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো কাজ আপনারা করবেন না। কেউ কোনো ধরনের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হবেন না, এই ম্যাসেজ আমরা দিয়ে দিয়েছি।’
 
                         
 
            