না ফেরার দেশে চলে গেলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮ | ২৫৭

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে দিল্লির এআইএমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিকেল ৫টা বেজে ৫ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী আজ (১৬ আগস্ট) বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে মারা যান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিগত ৩৬ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়। এই অবস্থায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও তার মৃত্যু ঘটে।’

বাজপেয়ীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরই গভীর শোকপ্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজপেয়ীর প্রয়াণে মর্মাহত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। টুইট করে গভীর শোকপ্রকাশ করেন তিনিও। বিরোধী শিবিরের দক্ষ সমালোচক ও অন্তর থেকে গণতন্ত্রের বিশ্বাসী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। টুইটে এভাবেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন প্রণববাবু।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। ৯ সপ্তাহ ধরে এইমস-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। ফুসফুস ও অন্ত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বাজপেয়ীর একটি কিডনি দীর্ঘদিন ধরেই বিকল। শুধুমাত্র একটি কিডনি কাজ করছিল। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তবে চেষ্টার কোনও কসুর বাকি রাখেননি চিকিৎসকরা।

৯৩ বছর বয়সী এই প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ পরিচিত ছিলেন তার শক্তিশালী বাগ্মীতা ও কবিতার জন্য। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাজপেয়ী ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন। তবে, সে সময় মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে এক বছরের কিছু বেশি সময়ের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে ফের বিজয়ী হয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৫ সালে বাজপেয়ীকে ভারতের শীর্ষ বেসামরিক সম্মাননা ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়।