কয়লার অভাবে বন্ধ বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০১ পিএম, সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮ | ১৮৮

কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে গেলো দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। রোববার (২২ জুলাই) রাত ১০টা ৫ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট বন্ধ করা হয় বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান।

কয়লা সঙ্কটের জন্য খনি কর্তৃপক্ষের দুর্নীতিকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গত ১৬ জুন ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়লা সঙ্কটে, ঝুঁকিতে পড়ে ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দু'টি ইউনিট।

এ কেন্দ্র দুটির উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে গত বছরে অক্টোবরে খনি কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়। গত বুধবার খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়ার্ডে কয়লা মজুদ না থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই রোববার রাত ১০টা ২ মিনিটে, ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দুটি ইউনিটও বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে, কয়লা মজুদের গড়মিলের ঘটনায় খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ওএসডি, মহাব্যবস্থাপককে বদলি এবং দুজন উপ-মহাব্যবস্থাপককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি গঠন করা হয় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। কয়লা উধাও হওয়ার জন্য খনি কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন শ্রমিকরা।

কয়লা খনির শ্রমিকরা জানান, কয়লা বাইরে বিক্রি করার কারণে আজ কয়লা সংকট দেখা দিয়েছে। আর যদি এই তাপ বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এখানকার ২০০-৩০০ শ্রমিকের কি অবস্থা-হবে।

এ বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে, এলাকাবাসী বলছেন, কালোবাজারে বিক্রির কারণেই কয়লা সঙ্কট হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, তারা (কর্মকর্তারা) দেশের সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ডেকে বলেছেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য তিনমাসের মতো কয়লা মজুদ রয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা রেগুলার উৎপাদন করছি। কিন্তু আজকে এক মাস না যেতে মজুদ কয়লা গেল কোথায়?