নন্দীগ্রামে জমে উঠেছে ঈদবাজার

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, শনিবার, ৯ জুন ২০১৮ | ২০৯

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানেই খুশি। ঈদ কড়া নাড়ছে। ঈদের খুশিকে আরও রঙিন করতে ধনী-গরিব সবারই ঈদে চাই নতুন পোশাক। ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই নিম্নবিত্তের মানুষও।

ঈদকে সামনে রেখে সকলেই চেষ্টা করে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে সবচেয়ে ভাল পোশাকটি কিনতে। ক্রেতার জোয়ার এখন নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকানপাটগুলোতে। সকাল থেকে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

ক্রমেই পুরো নন্দীগ্রাম উপজেলা রূপ নিচ্ছে ঈদ মার্কেটে। নিম্নআয়ের মানুষসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষরা সবাই ব্যস্ত কেনাকাটায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, এবছর রোজার শুরু থেকেই ঈদ মার্কেট জমজমাট হয়ে উঠেছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই জমে উঠছে ক্রেতাদের ঈদ-শপিং।

এবছর প্রত্যেক দোকানপাটে ক্রেতার ঢল নেমেছে। ব্যবসায়ীরাও ঈদ মার্কেটে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। আশা করা হচ্ছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদে বিক্রি ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হবে।

পৌর শহরের শাড়ী ব্যবসায়ী হাবিব বলেন, ঈদের প্রস্তুতি ভালো। ব্যবসায়ীরা প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। এবছর বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।

এবার ঈদে শাড়ি ও থ্রিপিসই মহিলা ও তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে। এছাড়া মসলিন, বিসকট, শিপন ও তাঁতের শাড়িও ভালো বিক্রি হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়ে সঙ্গে নিয়ে জনতা মার্কেট থেকে ঈদের কেনাকাটা করেছেন উপজেলার রিধইল গ্রামের নুরÑআলম । বড় ছেলে আব্দুস রাশেদ ও মেয়ে সুমাইয়ার জন্য তাদের পছন্দের পোশাক কিনেছেন।

প্রতিক্রিয়ায় নুরআলম জানান, ঈদ উৎসবে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। যদিও মার্কেট ঘুরতে কষ্ট হয়েছে। এরপরও কিছু আনন্দ আছে। পরিবারের সব সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে পারা আনন্দের। অনেক ক্ষেত্রে দাম বেশি। কিন্তু উৎসব বলে তা মেনে নিতে হবে বলে জানান তিনি।

তবে ঈদের আগে পেেণ্যর দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেল। পেশায় রাজমিস্ত্রি করিম বলেন, কিছুদিন আগেও যেসব টি-শার্ট ১৭৫টাকায় কিনেছি, এখন তার দাম রাখা হচ্ছে ৩২০টাকা। এদিকে ঈদ উপলক্ষে জমে উঠা মার্কেট গুলোতে এখনো কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।