আলোচনার মাধ্যমেই প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধ নিরসন চাই: প্রধানমন্ত্রী

অালোকিত ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, রোববার, ৩০ জুলাই ২০১৭ | ৩৯৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের মধ্যে নানা বিষয়ে বিরোধ থাকতে পারে। তবে সেসব বিরোধ আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’ আজ রোববার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁকে কথাগুলো বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে—এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমার বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্থলসীমান্ত বিল ভারতীয় পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে।’ তিনি বলেন, এভাবে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ সমাধান সারা বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এ সময় শেখ হাসিনা একই প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ সমাধানের কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান করেছি। শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভারত থেকে ৬২ হাজার শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছি।’ দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য নির্মূল করতে এ অঞ্চলের সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। এ সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী গত সাড়ে আট বছরে তাঁর সরকারের বিভিন্ন অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করি।’ তিনি বলেন, এসব খাতে একাধিক কর্মসূচি নেয় তাঁর সরকার। আর এখন জনগণ এর সুফল ভোগ করছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি বাড়ি একটি খামারের মতো অনেক কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। সন্ত্রাসের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুফল ভোগ করেন অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। সাক্ষাতের সময় পাকিস্তানের হাইকমিশনার বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ আমূল পাল্টে গেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করছেন, পাকিস্তানের জনগণ একে সাধুবাদ জানায়। গত বছর গুলশানের হোলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাফিউজ্জামান সিদ্দিকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামলেছেন। আর সে জন্য এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুরাইয়া বেগম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।