নীলফামারীতে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষাবৃত্তি আন্তসাতের অভিযোগ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গাড়াগ্রাম খাইরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষা বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র মাহবুবুর রহমানের শিক্ষাবৃত্তির ৫ হাজার ২শ ৫০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন ভারপ্রাপ্ত সুপার শহিদুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাড়াগ্রাম খাইরিয়া দাখিল মাদ্রাসা হতে মোঃ মাহবুবুর রহমান ২০১৩ সালে জুনিয়ার দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে জিপিএ ৫ লাভ করে। তার রোল নং-২২৮০৮৩ রেজিঃ নং-১৩১৮৮৫৬৮২২। ভাল ফলাফলের ভিত্তিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে মাহবুবুর রহমান শিক্ষাবৃত্তি লাভ করে।
শিক্ষাবৃত্তি বাবদ মাসিক ২শ টাকা করে ২ বছরের জন্য চার হাজার আটশ টাকা তার নামে আসে। বইপত্র ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য অনুদান হিসেবে ১৪ সালের জানুয়ারি হতে ১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ বছরে ৪ শ ৫০টাকা তার নামে এককালীন সাহায্য আসে। কিন্তু সরকারি ভাবে দেয়া বৃত্তির টাকা মাদ্রাসার তৎকালীন সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম মাহবুবুর রহমানকে না দিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষা বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র মাহবুবুর রহমানকে বৃত্তি পাওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে তার জাল স্বাক্ষর প্রদান করে সমস্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
মাহবুবুর রহমান চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। মাহবুব দীর্ঘ চার বছর পর শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিশোরগঞ্জ বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের কপি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুলিপি প্রেরণ করেন।
শিক্ষাবৃত্তির টাকা আত্মসাৎকারী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সুপার শহিদুল ইসলামের মোবাইলে কল দিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আত্মসাতে বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি তার বৃত্তির টাকা উত্তোলন করে তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গেলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নুরল আমিনকে অফিসে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠো ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষাবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।