ওবায়দুল কাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, সোমবার, ৯ এপ্রিল ২০১৮ | ২২৮

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সচিবালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত আছেন। এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য এস এম কামার হোসেন, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া উপস্থিত আছেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোটা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পারিবারের জন্য ৩০ শতাংশ। এর বাইরে ১০ শতাংশ নারী কোটা, পশ্চাদপদ জেলার জন্য ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং এক শতাংশ কোটা আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য।

বাংলাদেশে নানা সময় কোটা সংস্কারের দাবিতে সরকারের শেষ বছরে আন্দোলন হয়েছে। শুরুর দিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবি সামনে নিয়ে এসেছিল আন্দোলনকারীরা। তবে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পর চলতি বছর এই দাবিটির বদলে কোটা সংস্কারের দাবি তুলছে আন্দোলনকারীরা। আর তারা কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসার কথা বলছে।

এতদিন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকলেও ৭ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগ এলাকা পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের তুলে দিতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর রাতভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত অন্তত ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ১১ পুলিশসহ আরও কয়েক শিক্ষার্থী বিএসএমএমইউ এবং বারডেমে চিকিৎসা নিয়েছে।

এদিকে চলমান আন্দোলন থমথমে থাকার পর সোমবার দুপুরের দিকে ফের গতি পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। সোমবার বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনকারী ক্যাম্পাস থেকে শাহবাগের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে মিছিল করেন। এছাড়া রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।