ভালুকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ কেউ বাঁচল না

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮ | ১৮৭

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র দীপ্ত সরকারও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বাইশ বছর বয়সী দীপ্ত গত ছয় দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া দীপ্ত সরকারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, দীপ্তর শরীরের ৫৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

এর আগে দীপ্ত সরকারের বন্ধু হাফিজুরকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আর তাদের আরেক বন্ধু শাহীন মিয়া বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহীন।

আর ২৪ মার্চ রাতে ওই বাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে তাওহীদুল ইসলাম তপু ঘটনাস্থলেই মারা যান।

জানা যায়, ঘটনার দিন রাতেই দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের নুরুজ্জামান আকন্দের ছেলে শাহীন মিয়ার শরীরের ৮৪ শতাংশ, নওগাঁ জেলার বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমানের ৫৮ শতাংশ এবং মাগুরার বিমল সরকারের ছেলে দীপ্তর শরীরের ৫৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিবাগত রাতে ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকার ছয় তলা বিশিষ্ট আর এস টাওয়ারের তিন তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর জানালার গ্রিল ও কাঁচ ভেঙে গিয়ে ছিটকে পড়ে। জানালার অ্যালুমিনিয়ামের স্ট্রাকচারও পড়ে যায়। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তৌহিদ অপু নামে একজন। দগ্ধ হন তিনজন।

রোববার ভোরে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার মারা যান শাহীন। দগ্ধ বাঁকি দুইজনের মধ্যে হাফিজুর বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে মারা যান। আর দীপ্ত সরকার মারা যান শুক্রবার সকালে। সদ্য মাস্টার্স শেষ করে তারা ভালুকায় স্কয়ার ফ্যাশন নামে একটি টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্ন করছিলেন।