ব্রি ৯৮ আউশ ধান খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে- কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩ | ২৫৮

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, বিপরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান ঠিক রাখতে হলে একই জমি থেকে বছরে বার বার ফসল ফলাতে হবে। ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সাধারণত ১৪০-১৬০ দিনের মধ্যে ধান হয়, সেই ধান যদি ৯০-১০০ দিনের মধ্যে হয়, তাহলে সেটি বিরাট সম্ভাবনাময়। ব্রি ৯৮ আউশ ধান এই সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। ৯০-১০০ দিনে হচ্ছে; ফলনও বিঘাতে ২৫-৩০ মণ। এ জাতটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে ব্রি ৯৮ আউশ ধান খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে ব্রি ৯৮ জাতের আউশ ধানের খেত পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, উন্নতজাতের অভাব এবং খরা, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ঝুঁকির কারণে দেশে এখন আউশ ধান অনেক কমে গেছে। বেড়েছে বোরো ও আমনের চাষ। ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্প জীবনকালীন উন্নতজাতের আউশ ধান উদ্ভাবন করেছেন। ব্রি ৯৮ মাঠে খুবই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এ জাতটি মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে পারলে দেশে আউশ আবার বড় ফসলে পরিণত হবে। একইসঙ্গে এটি লাভজনক ফসল হিসাবে কৃষকের হাসিকে আরো চওড়া করবে।

একই জমিতে বছরে ৪টি ফসল ঘরে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান, কৃষক ইকবাল হোসেন।

তিনি জানান, ব্রি ৯৮ জাতের এই আউশ ধানটি ২০ দিনের চারাসহ মোট ৯৮-১০০ দিনের মধ্যে কর্তন করেছেন। এর আগে তিনি এই জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি ৯৬ চাষ করেছিলেন। এখন তিনি আমনে ব্রি ৭৫ লাগাবেন এবং আমন কেটে স্বল্প জীবনকালীন সরিষার আবাদ করবেন।

এ সময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মাহামুদুল হাসানসহ কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।