নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত,দলের বর্ধিত সভা

বিভেদ ভুলে নাগরপুরে আ’লীগের শীর্ষ নেতারা এক মঞ্চে

নাগরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৫৬ পিএম, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৮ | ৭৬৮

দীর্ঘদিনের দ্ব›দ্ব ও মতভেদ ভুলে অবশেষে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক মঞ্চে উঠলেন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা।

অতিতের ভুল শুধরে দলের বৃহত্তর স্বার্থে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সকলেই।এদিকে এক প্লাটফর্মে নেতাদের দেখতে পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

শুক্রবার সকালে নাগরপুর যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভার মঞ্চে একে একে উপস্থিত হন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আবদুল বাতেন, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম টিটু, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব ইনসাফ আলী ওসমানী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তারেক শামস খান হিমু, উপজেলা আলীগের সদস্য খুরশিদ আলম বাবুল।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়ামের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোঃ কুদরত আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়ির সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক।

এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, বাবু গোপাল চন্দ্র সাহা, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রঙ্গু, সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাড. মুলতান উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য লক্ষী কান্ত সাহা প্রমূখ।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, থানা আওয়ামীলীগে অভ্যন্তরিন কোন্দল ও গ্রুপিং রাজনীতির চর্চা দীর্ঘদিনের । জনশ্রুত রয়েছে শুধুমাত্র কোন্দলের কারনে এ আসনটি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের হাতছাড়া ছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান খন্দকার আবদুল বাতেন ।

এ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হন সাবেক উপজেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ খান তারেক। ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী খন্দকার আব্দুল বাতেন পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়মীলীগের মনোনয়ন পান আহসানুল ইসলাম টিটু। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদন্দীতা করেন খন্দকার আব্দুল বাতেন ।

এ নির্বাচনেও ফের দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটে। স্বধীনতার পর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খন্দকার আবদুল বাতেন। বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল আরো প্রকোট হয়ে উঠে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. তারানা হালিম, খন্দকার আবদুল বাতেন এমপি ও আহসানুল ইসলাম টিটুসহ সম্ভাব্য প্রার্থীরা কর্মী সমর্থক নিয়ে দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচি পৃথক পৃথকভাবে পালন করতে থাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আ’লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এক মঞ্চে সব নেতার উপস্থিতি নজির বিহীন।

ইতোপূর্বে একসাথে এক মঞ্চে ওঠা তো দুরের কথা এক নেতা অপর নেতার ছায়া পর্যন্ত মারায়নি। তবে দলের বর্ধিত সভার মাধ্যমে সব নেতা এক ছাতার নিচে আসার ঘটনাকে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

এদিকে এক প্লাটফর্মে সব নেতার উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতির জন্য সুবাতাস উল্যেখ করে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থে সব বিভেদ ভুলে শীর্ষ নেতারা এক মঞ্চে এসেছেন এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।