খুনীরা শেখ রাসেলের প্রতিভাকে ভয় পেয়েছিল : নৌপ্রতিমন্ত্রী

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১ | ১২৬

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সাম্প্রদায়িক আঘাত দিয়ে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখনই এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আবার নতুনভাবে আঘাত হানছে। এ আঘাত দিয়ে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।

আজ সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ ২০২১ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই চোরাগুপ্তা হামলাও বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, বাংলাদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম লায়লা জেসমিন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয়ে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে বাংলাদেশকে পচাত্তর থেকে আজকে ২০২১ পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৬ বছর যাবত বাংলাদেশে একই গল্প শোনানো হয়েছে, সাম্প্রদায়িকতার গল্প। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যে জঘন্য ঘটনা, নির্মমতার যে মূল উদ্দেশ্য, মানুষ যত জানতে পারছে, ততই ওরা ঘৃণিত হচ্ছে। এরা নতুন প্রজন্মের কাছে আরো বেশি ঘৃণিত হবে। নতুন প্রজন্ম ইতিহাস জানছে, এই ইতিহাসতো জানতে দেওয়া হয় নাই। খুনী এবং অপরাধীদের পক্ষে ইতিহাস লেখা হয়েছিল, বলা হয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্রকে সেভাবেই ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে, সবকিছুর বিনিময়ে তিনি এ বাংলাদেশকে আজকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। উন্নতির শিখরে শেখ হাসিনার যে দর্শন, প্রতিহিংসা নয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রকে চর্চা করে এবং একটা দেশের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানোর মধ্য দিয়েই এই পঁচাত্তরের খুনীদের মূল উদ্দেশ্যকে কবর রচনা করা, আজকে সেই জায়গার দ্বারপ্রান্তে আমরা চলে আসছি।

পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনীরা শেখ রাসেলের প্রতিভাকে ভয় পেয়েছিল। কাজেই তাকেও রাখা যাবে না। শেখ রাসেলের এ বিষয়গুলো যত আলোচনা হবে, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার কালো অধ্যায়গুলো মানুষ জানতে পারবে।