ভূঞাপুর পৌর কাউন্সিলর কারাগারে

স্টার্ফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৬:৪২ পিএম, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৫৭

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পৌর নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচী বেগমের আঙ্গুল কেটে ফেলা মামলায় কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, তাঁর ছোট ভাই শাহআলম ও জহুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার তারা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির হন। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হজরত আলী সুজন।

আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিনে ছিল বলেও জানান ওই আইনজীবী। 

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ভূঞাপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট সূচী বেগম এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সূচী বেগমকে নির্বাচনী বুথ থেকে টেনে বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠে। ওই কেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, আঙ্গুল কেটে ফেলা ও মারপিটের অভিযোগ এনে গত ১ ফেব্রুয়ারি সূচীর ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এরপর উচ্চ আদালতে আগাম জামিন নেন তাঁরা। 

ওই ঘটনায় ৩ মে ভূঞাপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল বাছিদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল ইসলাম তালুকদার বাবলু’র স্বাক্ষরিত চিঠিতে কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক পরিচয়সহ দলীয় সকল পরিচয় থেকে তাঁকে বিরত থাকতে বলা হয়। 

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি ছিল টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার নির্বাচন। ওই দিন সকাল ৮ থেকেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছিল ভোটগ্রহণ। ওই নির্বাচনে কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের ছিল দীর্ঘ লাইন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছিলেন নারী ও পুরুষ ভোটাররা। বেলা পৌনে ১২টায় হঠাৎ করেই হামলার ওই ঘটনায় পাল্টে যায় ওই নির্বাচনী পরিবেশের দৃশ্যপট।