স্কুলেই চলছে প্রধান শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য!

স্টার্ফ রিপোটার
প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫১৭

প্রধান শিক্ষক আর সহকারি প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে স্কুল ভবনেই চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এই কোচিং বাণিজ্য চলছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর শামসুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এর সত্যতা পাওয়া গেছে স্কুল ভবনগুলো ঘুরে। করোনাকালিন স্কুল বন্ধ থাকায় আর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য এই প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারা।

 জানা যায়, ১৯৭১ স্থালে স্থাপিত হয় নাগরপুর শামসুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগ, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী ও সরকারি প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের লোভ দেখিয়ে চালাচ্ছেন এই কোচিং বাণিজ্য। ভালো ফলাফলের আসায় বাধ্য হয়েই ওই কোচিং সেন্টারে পাঠাতে হচ্ছে তাদের শিক্ষার্থীদের। কমপক্ষে স্কুলের শতাধিক ছাত্রী পড়ছে ওই কোচিং সেন্টারে। বেতনও নেয়া ছাত্রী প্রতি পাঁচশ টাকা। তবে স্কুল ভবনে কিভাবে প্রধান শিক্ষক আর সহকারি প্রধান শিক্ষক এই কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন এ নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ তারা।

সরেজমিন বিদ্যালয় ভবনের নিচতলার তিনটি কক্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়াতে দেখা গেছে। একটি কক্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মোট ৮জন শিক্ষার্থীকে পড়াচ্ছেন প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী। ষষ্ঠ শ্রেণীর গণিত আর সপ্তম শ্রেণীর ১৪জন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়াচ্ছেন সহকারি প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন আর অস্টম শ্রেণীর ১৪জন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়াচ্ছেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।    

স্কুল ভবনে প্রাইভেট পড়ানোটা ভূল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন নাগরপুর শামসুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী। 

বিদ্যালয়ে প্রাইভেট কোচিং চালানোর বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠণের তথ্য স্থানীয় মাধ্যমে প্রচার পেলেও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি’র মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নাগরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, স্কুল ভবনে প্রাইভেট পড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এরপরও কিভাবে আর কেন ওই প্রাইভেট কোচিং চালাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

এ বিষয়ে নাগরপুর নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত ই জাহান এর মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি তিনি।